আমার মনোবিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা শুরু হয়েছিল ৭ম বা ৮ম শ্রেণিতে, যখন হঠাৎ করে ইন্টারমেডিয়েট পড়ুয়া বড় বোনের কলেজের মনোবিজ্ঞান বই হাতে পাই। সেখানেই প্রথম পরিচয় হয় "পাভলভের কুকুর"-এর সাথে (অবশ্যই প্রতীকীভাবে)। তখন শুধু মনে হয়েছিল, “দারুণ একটা পরীক্ষা!”— পরে জেনেছি, এটাকেই বলে ক্লাসিকাল কন্ডিশনিং।

আমি কে?

আমি খালিদ হাসান জীবন — পেশায় প্রোডাক্ট ডিজাইনার, পড়াশোনা সমাজবিজ্ঞানে, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে। ডিজাইন নিয়ে কাজ করেছি পাঠাও এবং ইনটেলিজেন্ট মেশিন্স-এর মতো প্রতিষ্ঠানে।

কিন্তু মানুষের জীবনে কাজই কি সব? 😀 অবশ্যই না!

কৌতূহল আমার জ্বালানি

আমরা সবাই কমবেশি কৌতূহলী। কেউ জানতে চায় কীভাবে একটা অ্যাপ কাজ করে, কেউ ভাবে মহাবিশ্বের সীমানা কোথায়, আবার কেউ অবাক হয় —

একটা মেঝেতে পানি এখানে সেখানে ছিটিয়ে পড়লে সেটা শুকাতে যতো সময় লাগে, সেই তুলনায় একটা পুরোপুরি ভেজা মেঝে শুকাতে কম সময় লাগে কেন?

আমি নিজেও তেমনই — নানা বিষয়ে জানতে আগ্রহী।

মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, জীববিজ্ঞান, এমনকি জ্যোতির্বিজ্ঞান — যদি কোথাও প্রশ্ন জাগে, আমি খুঁজে দেখতে চাই উত্তরটা কী হতে পারে।

এই কৌতূহল আরও তীব্র হয়েছে আমার ৪ বছরের ছেলেকে দেখে। ও এমন সব প্রশ্ন করে, যেগুলো আমি নিজেও কখনো ভাবিনি! তাকে শেখাতে গিয়েই অনেক সময় আমি নিজে নতুন কিছু শিখি।

যদি ওর এই কৌতূহলকে আমরা বড়রা বাঁচিয়ে রাখতে পারি, তাহলে হয়তো ও একদিন বড় হয়ে আরও বড় বড় প্রশ্ন করবে এবং উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত থামবে না!

আর আমি চাই ও আজীবন শেখার আনন্দে থাকুক।

আমি কেন লিখি?

কখনো কখনো শেখার আনন্দটা অন্যদের সাথে ভাগ করতে ইচ্ছা হয়! মনে হয়, যা জানলাম বা যা ভাবছি, সেটার একটা অংশ যদি অন্য কারও চিন্তায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, ব্যাপারটা দারুণ হবে!

তাই লিখি — কাউকে শেখানোর জন্য না, বরং একসাথে শেখার জন্য। যদি আমার লেখা কারও ভাবনার নতুন দিক খুলে দেয়, তবেই আমার প্রচেষ্টা সার্থক হবে।

Create a free website with Framer, the website builder loved by startups, designers and agencies.